শহরের পুরাতন বাজার মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার ওই ছাত্রকে শনিবার সন্ধ্যায় মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের চিকিৎসক অমর প্রসাদ বিশ্বাস।
আহত আলফাজ উদ্দিন (১২) সদর উপজেলার রায়গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে। সে ওই মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র।
চিকিৎসক অমর প্রসাদ বলেন, শিশুটির শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। তাকে ভর্তির করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, ছেলেকে হাফেজ বানানোর জন্য চার মাস আগে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। শনিবার বিকালে মাদ্রাসায় ছেলের খোঁজ নিতে গিয়ে দেখতে পান সে কান্নাকাটি করছে।
“কী হয়েছে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, ‘মাদ্রাসার দুই শিক্ষক পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে তাকে মারধর করেছ’। মারধরে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে দাগ হয়ে গেছে।”
পরে ছেলেকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানান তিনি।
আলফাজ উদ্দিন বলে, বাবার সঙ্গে দেখা করার কারণে মাদ্রাসার শিক্ষক ইমরান এবং ওস্তাদ ফবিরুল্লাহ তাকে দড়ি দিয়ে পিঠমোড়া করে বেঁধে মারধর করেছেন।
“প্রায়ই মাদ্রাসার শিক্ষকরা মারধর করেন। কিন্তু ভয়ে এতদিন বিষয়টি কাউকে বলিনি।”
এ বিষয়ে শিক্ষক মো. ইমরান বলেন, “না বলে বাবার কাছে চলে যাওয়ার তাকে মাদ্রাসায় নিয়ে এসে সামান্য শাসন করা হয়েছে। তবে দড়ি দিয়ে পিঠমোড়া করে বাঁধার ঘটনা ভুল হয়েছে।”
মাগুরা সদর থানার ওসি ইলিয়াছ হোসেন জানান, এ বিষয়ে শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।