মৃত মো. জাহাঙ্গীর (১৮) নগরীর কৃষ্টপুর এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, দুপুরে স্থানীয়রা সেপটিক ট্যাংকে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে।
জাহাঙ্গীরের চাচা সিরাজুল ইসলাম বলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কৃষ্টপুর এলাকার হোসেন আলী এবং তার দুই ছেলে রিপন ও রাসেলের সঙ্গে মিছিলে যাওয়া-আসা নিয়ে জাহাঙ্গীরের বিরোধ চলছিল।
জাহাঙ্গীর মাঝে মাঝে হোসেনের দল বাদেও অন্য দলের মিছিলে যেতেন। এ নিয়ে হোসেন আলীর ক্ষোভ ছিল। গত বুধবার হোসেনের লোকজন জাহাঙ্গীর ও তার বন্ধুদের মারধর করে এবং হত্যার হুমকিও দেয় বলে সিরাজুলের ভাষ্য।
এর জেরে পরদিন তারাই জাহাঙ্গীরকে অপহরণ করে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে এ বিষয়ে জানতে হোসেন ও তার ছেলেদের মোবাইলে ফোন করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, “জাহাঙ্গীরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।মিছিলে যাওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
এ দিকে জাহাঙ্গীরেরমৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা কৃষ্টপুরের রাস্তা অবরোধ ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করে।