বৃহস্পতিবার উপজেলার ঠাকুরাকোণা গ্রামের কবরস্থান থেকে তার লাশ তোলার সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইদা পারভীন ও নেত্রকোণা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, এ মামলার গ্রেপ্তার দুই আসামি বুধবার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নেত্রকোণা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ নূর-এ-আলম জানান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বেলা ১১টায় লাশ উত্তোলন শুরু হয়ে বেলা দেড়টার দিকে শেষ হয়। পরে মরদেহ নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, “এ মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি কৌশিক সরকার ওরফে অপু (২৩) ও মামুন মিয়া আকন্দ (২৬) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।”
কৌশিক এ মামলার প্রধান আসামি। তিনি জেলা ছাত্রলীগের কৃষিবিষয়ক উপসম্পাদক।
পরিদর্শক শাহ নূর-এ-আলম জানান, কৌশিক সরকারকে বিচারিক হাকিম সৈয়দ আবদুল্লাহ আল হাবিবের আদালতে এবং মামুন মিয়াকে জুলফিকার আলী রনির আদালতে হাজির করা হয়।
জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
কিশোরী পান্নার মা আলপনা আক্তারের করা মামলায় ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঠাকুরাকোণা গ্রামের তিন আসামি মেয়েটিকে পাশের মাছের খামারে একটি ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে মেয়েটির মা কৌশলে সেখানে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তখন মেয়েকে ‘বিধ্বস্ত’ দেখাচ্ছিল।
অভিযোগ আরও বলা হয়, ঘরে এসে মেয়েটি ওই তিন আসামি তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায়। কিছুক্ষণ পর ‘ধর্ষণকারী’ যুবকদের একজন তাদের ঘরে গিয়ে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। কিন্তু স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জেনে ফেলে।
পরদিন বেলা ১১টার দিকে পাশের ঘরের আড়ার সঙ্গে মেয়েটির ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
এ মামলার আরেক আসামি সুলতান পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।