রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইউনূসের ভূমিকা সন্দেহজনক: চুমকি

রোহিঙ্গা ইস্যুতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2017, 02:14 PM
Updated : 12 Sept 2017, 02:15 PM

মঙ্গলবার গাজীপুরের কালীগঞ্জে ইমাম ও মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী চুমকি বলেন, “পশ্চিমা বিশ্ব ড. ইউনূসকে নিয়ে এত মাতামাতি করে, কিন্তু যখন সারাবিশ্বের নোবেলবিজয়ীরা রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞের তীব্র প্রতিবাদ করছেন সে মুহূর্তে ড. ইউনূস রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ রয়েছেন। তার ভূমিকা সন্দেহজনক।

“তিনি কেন ছুটে গেলেন না রোহিঙ্গাদের কাছে? তিনি কেন অং সান সু চিকে ফোন করলেন না? তার সাথে অং সান সু চির কোনো আঁতাত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত।”

অং সান সু চি ও ইউনূসের নোবেল পদক প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চুমকি বলেন, “সুইডেনের নোবেল কমিটি নোবেলের জন্য ভুল মানুষকে নির্বাচন করেছে। অবিলম্বে তাদের নোবেল পদক প্রত্যাহার করুন।”  

রাখাইনে সেনা অভিযানের মুখে বাংলাদেশ পানে রোহিঙ্গা স্রোত

রাখাইনে সেনা অভিযানের মুখে বাংলাদেশ পানে রোহিঙ্গা স্রোত

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিভিন্ন দেশে সু চির সমালোচনার মধ্যে সোমবার জাতীয় সংসদে তার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “মিয়ানমারে দীর্ঘদিন সামরিক জান্তা ক্ষমতায় ছিল। মিয়ানমারে এখন কেবল গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু। সেখানে আইন করে সু চিকে কিন্তু রাষ্ট্রপতি বা সরকার প্রধান হতে দেয়নি। তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”

আধুনিক মিয়ানমারের স্থপতির মেয়ে সু চির প্রকৃত ক্ষমতা বিবেচনা করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান বাংলাদেশের জাতির জনকের মেয়ে হাসিনা।

তিনি বলেন, “তিনি যে ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন.. ওখানে সংসদেও কিন্তু মিলিটারি প্রতিনিধি বেশি। পলিসি মেকিংয়ে তারা যেটা বলবে সেটাই।”

কালীগঞ্জ উপজেলা শাখা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংকজ দত্ত, এটুআই প্রোগ্রামের প্রশিক্ষক পারুল সিকদার, ইউপি চেয়ারম্যান মো. শরীফুল ইসলাম সরকার তোরণ প্রমুখ।

এ সময় উপজেলার ৫৫৬টি মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন ও মসজিদ কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।