রংপুরে খাদেম হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত

রংপুরে মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় আরও ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2017, 11:02 AM
Updated : 12 Sept 2017, 11:37 AM

মঙ্গলবার রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা।

এরা হলেন রহমত আলীর প্রতিবেশী হযরত আলী, শাহ আলম, বিপ্লব চন্দ্র সরকার, রেজাউল ইসলাম, প্রধান আসামির এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদ রানা এবং সাবেক সেনা সদস্য সৈয়দ আলী সাঈদ।

সাক্ষ্য শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন।

রথীশ জানান, এ নিয়ে ৫৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মামলার বাদী খাদেমের ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলামসহ ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় ১২ আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা নয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

বুধবার আরও ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর খাদেম রহমত হত্যাকাণ্ডের পর ওই বছরের ৩ ডিসেম্বর ভোরে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নের পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে এ মামলার প্রধান আসামি জেএমবির রংপুর আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে মাসুদ রানার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার বাড়ির পুকুর থেকে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরা হাতবোমা তৈরির ৫৪টি লোহার কৌটা ও তিনটি ধারালো বড় ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ।

এগুলো উদ্ধার করার পর জব্দ তালিকার সাক্ষী ছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদ রানা এবং সাবেক সেনা সদস্য সৈয়দ আলী সাঈদ। তারা নিজ নিজ সাক্ষ্যে একথা উল্লেখ করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রথীশ চন্দ্র জানান।

রথীশ চন্দ্র বলেন, উদ্ধার করা তিনটি ছোরা দিয়ে জঙ্গি মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রীসহ তিনজন খাদেম রহমত আলীকে কুপিয়ে আহত করার পর গলা কেটে হত্যা করেছেন বলে শোনার কথা মাসুদ রানা ও সৈয়দ আলী সাক্ষ্যে আদালতকে বলেছেন।    

রহমত আলীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন বলে সাক্ষী হযরত আলী, শাহ আলম, বিপ্লব চন্দ্র সরকার ও রেজাউল ইসলাম জানান।

২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে বাড়ি ফেরার সময় রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের চৈতার মোড়ে মাজার শরীফের খাদেম রহমত আলীকে (৬০) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।

তদন্ত শেষে কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন অর রশীদ গত বছরের ৩ জুলাই জেএমবির রংপুর আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রীসহ ১৪ জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

দুই আসামির মৃত্যু হওয়ায় গত ১৬ অগাস্ট রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার জেএমবির ১২ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।