প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সোমবার কুতুপালং ক্যাম্প ও বালুখালীতে দুইটি নিবন্ধন বুথ স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম লুৎফুর রহমান।
তিনি বলেন, কুতুপালং থেকে বালুখালী পর্যন্ত ১৭ বুথ স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে কুতুপালং ক্যাম্পে একটি ও বালুখালীতে একটি বুথ স্থাপন হয়েছে।
নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি পাসপোর্ট অফিস করছে বলে জানান তিনি।
প্রকল্পটির ডেপুটি পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফিউল আজম বলন, রোহিঙ্গাদের ১০ আঙ্গুলে চাপ, ছবি, বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ও মিয়ানমারের ঠিকানা নেওয়া হবে। তারপর পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালেদ মাহমুদ জানান, সব রোহিঙ্গাদের একস্থানে নিয়ে ডাটাবেইজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিচয়পত্র পাওয়া রোহিঙ্গাদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
সেইসঙ্গে ছড়িয়ে পড়া রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় নিয়ে এসে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে একটি ডেটাবেইজও তৈরি কথাও জানিয়েছিল প্রশাসন। তার অংশ হিসেবে বুথ স্থাপন করে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ অগাস্ট রাতে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে হামলার ঘটনার পর থেকে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে চালানো হচ্ছে হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ। যারা প্রাণে বেঁচে গেছেন, তারা ছুটে আসছেন বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে।
দমন অভিযানের মুখে ইতোমধ্যে পালিয়ে আসা প্রায় একশ রোহিঙ্গার লাশ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদীতে ভেসে আসতে দেখা গেছে।
রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক মানতে নারাজ মিয়ানমার সরকার এখনও তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের আহ্বানে কোনো সাড়া দেয়নি।