উপজেলার কুল্ল্যা ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে আশাশুনি থানার ওসি শাহিদুল ইসলাম সাহিন জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ শাহরিয়ার ও চঞ্চল নামের দুই যবুককে আটক করেছে।
আহত পলাশ ঘোষ, উজ্জল ঘোষ, বাবুলাল ঘোষ, কালিপদ ঘোষ, সুমন ঘোষ ও সুকুমার ঘোষকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় শংকর ঘোষ বলেন, “স্থানীয় একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষেদের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বুধবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ঘুমন্ত মানুষের উপর হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ছয়জন আহত হয়।
“হামলাকারীরা চলে যাওয়ার সময় কচুয়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে। তারা মন্দিরে রাখা বিষ্ণু, ব্রহ্মা, দুর্গা, কার্তিকসহ পাঁচটি ভাংচুর করে।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য আঙ্গুর হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকটি প্রতিমা ভাংচুর ও কয়েকজন আহত হয়েছেন দেখি। জেলা পরিষদের সদস্য দেলোয়ার ও তার বাহিনী এ কাজ করেছে বলে জানতে পেরেছি।”
দেলোয়ার হোসেন বলেন, “আমি স্থানীয় গুনাকরকাটি বাজারে চুল ছাঁটাই করছিলাম। আমার ভাগ্নে শুভ ও শাওন আমাকে নিতে আসছিল।
“পথে কচুয়া ঘোষ পাড়ায় কয়েকজন যুবক আমাকে নিয়ে কটূক্তি করায় ভাগ্নেদের সঙ্গে তাদের কথাকাটি এবং হাতাহাতি হয়।”
প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।
ওসিক শাহিদুল বলেন, সেখানে চারটি প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দুই যবুককে আটক করা হয়েছ।
“এ ঘটনায় যেই দোষী হোক না কেন তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।”