মসজিদের মাইকে খাদেমকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়, জানালেন সাক্ষীরা

রংপুরে মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় আরও পাঁচজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বুধবার সকালে রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা।

এদিন খাদেম রহমত আলীর স্ত্রী রওশন আরা বেগম, ভাতিজা অ্যাডভোকেট ফেরদৌস ইসলাম, প্রতিবেশী আব্দুল হক, সাজেদা বেগম ও আব্দুল জলিল সাক্ষ্য দেন।

সাক্ষ্য শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রথীশ চন্দ্র বলেন, “জেরার উত্তরে সাক্ষী অ্যাডভোকেট ফেরদৌস ইসলাম আদালতকে জানিয়েছেন, তার চাচা রহমত আলীকে হত্যার মাস খানেক আগে চৈতার মোড় এলাকার একটি মসজিদে জঙ্গিরা আস্তানা গেড়েছিল।

“জঙ্গিরা বিভিন্ন সময় রহমত আলীকে পীরবাদের তরিকা পরিহার করার নির্দেশ দেয়। রহমত আলী তাদের কথায় রাজি না হওয়ায়  জঙ্গিরা একদিন মসজিদের মাইকে তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল বলে ফেরদৌস তার সাক্ষ্যে জানিয়েছেন।” 

বাড়ির কাছে দাদা আব্দুস সাত্তারের নামে মাজার শরীফ আছে। রহমত আলী ওই মাজারের খাদেম ছিলেন। এছাড়া রহমত আলী কেরানীগঞ্জের বাবা জাহাঙ্গীর বা ঈমান আল সুরেশ্বরী নামে এক পীরেরও মুরিদ ছিলেন বলে প্রথম দিনের সাক্ষ্যে বাদী জানিয়েছিলেন।

এ নিয়ে বাদীসহ ছয় জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় ১২ আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা ৯ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

সাক্ষ্য শেষে আদালত আগামী ১১ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন রাখে। ওই তিনদিন ছয়জন করে মোট ১৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে বলে আইনজীবী রথীশ জানিয়েছেন।

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের চৈতার মোড়ে মাজার শরীফের খাদেম রহমত আলীকে (৬০) ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে বাড়ি ফেরার সময় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন অর রশীদ গত বছরের ৩ জুলাই জেএমবির রংপুর আঞ্চলিক কমাণ্ডার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রীসহ ১৪ জেএমবির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। গত ১৬ অগাস্ট রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার জেএমবির ১২ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।