বৃষ্টিভেজা সিলেটে পর্যটকের ভিড়

ঈদের দিন সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো অনেকটা  ফাঁকা থাকলেও পরদিন সকাল থেকেই ভিড় বাড়ছে গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানিগঞ্জ, জৈন্তাপুরসহ বিভিন্ন স্পটে।

মঞ্জুর আহমদ সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2017, 01:22 PM
Updated : 3 Sept 2017, 01:22 PM

জল-পাথর আর পাহাড়ের মিতালিতে বিছনাকান্দি, প্রকৃতিকন্যা জাফলং, মায়াবী ঝর্ণা, দ্বিতীয় সুন্দরবন হিসেবে খ্যাত রাতারগুল, মায়াবন, বিস্তীর্ণ ঝর্ণাধারার পাংথুমাই - রোববার সকাল থেকেই দেখতে আসছেন দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

সিলেট হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তাহমিদ আহমদ জানান, প্রতিবছর ঈদে সিলেটে অন্তত ৫০ হাজার পর্যটক আসে। এ বছর ছুটি কম হওয়ায় সে সংখ্যা ৩০ হাজার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এবার ঈদ এসেছে বৃষ্টির দিনে। এ সময় সিলেট গাঢ় সবুজের মায়া ছড়ায়।

সপরিবার জাফলংয়ে বেড়াতে আসা ঢাকার আবুল কালাম বলেন, “এখানে এসে মনে হচ্ছে প্রকৃতির প্রাণের মধ্যে এসে পড়েছি। জাফলং এক কথায় অসাধারণ। পাহাড়ি ঝর্ণধারা, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ জল যে কারও মন ভুলাবে। আমরা মুগ্ধ।”

জৈন্তাপুরে আছে নীলনদ খ্যাত সবুজ জলের লালাখাল, ঐতিহাসিক মেগালিথিক পাথর ও ঐতিহ্যের স্মারক জৈন্তিয়া রাজবাড়ি।

কানাইঘাটে রয়েছে প্রকৃতির আশ্চর্য সৌন্দর্যের লীলাভূমি লোভাছড়া। এখানে আছে সবুজের আচ্ছাদন, চা বাগান, শতবর্ষী ঝুলন্ত ব্রিজ, পাথর অঞ্চল, হাতি নিয়ে চলা মাহুত, চা পাতা প্রক্রিয়াজাত করার কর্মকাণ্ড।

শুধু পর্যটনকেন্দ্র নয়, ভিড় বেড়েছে পার্কগুলোয়ও। ওসামানী শিশু উদ্যান,অ্যাডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ড,জাকারিয়া সিটি,ড্রিমল্যান্ড পার্কে দুপুর থেকেই ভিড় দেখা গেছে।

ওসমানী শিশু উদ্যানে আসা রাজিয়া বলেন, “ঈদ আনন্দ রাঙিয়ে তুলতেই এখানে আসা। বিভিন্ন রাইডে চড়তে মজা লাগছে।”

পর্যটকদের নিরাপত্তায় সব বিনোদনকেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান।