আড়তদার আর ট্যানারি মালিকদের কাছে তিন বছর ধরে বকেয়া থাকা পাওনা ঠিকমতো না পাওয়া ও লবণের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট শাহজালাল চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শামীম আহমদ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সিলেট জেলায় এবার প্রায় এক লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল চামড়া ব্যবসায়ীদের। দুই দিনে সংগ্রহ করা গেছে মাত্র ৬০-৬৫ হাজার।
জালালাবাদ লেদার-এর সত্ত্বাধিকারী মো. শাহীন মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কয়েক বছর ধরেই চামড়া ব্যবসায়ীদের দুর্দিন চলছে। সিলেটের অন্তত ৩০০ চামড়া ব্যবসায়ীর মধ্যে বেশিরভার এবার ক্ষতির আশঙ্কায় চামড়া সংগ্রহ করেননি।
তিনি বলেন, লবণের দাম চড়া। ঈদের আগেও প্রতিমণ লবণ বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৩০০ টাকায়। আর এখন বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৬০০ টাকা।
“এত চড়াদামে লবণ কিনে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।”
কিন্তু চামড়া ব্যবসায়ীরা ঝুঁকি নিয়ে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে রাখলেও শ্রমিক খরচসহ আনুষাঙ্গিক সব খরচ শেষে লাভের মুখ দেখা নিয়ে সংশয়ে তারা।
চামড়া ব্যবসায়ী ছমির উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আড়তদারদের কাছে লাখ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এবার সামান্য টাকা পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় আড়তদাররা সময়মতো চামড়া না নিলে আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। ব্যংক ঋণ ও ধার-দেনার টাকায় কিছু চামড়া সংগ্রহ করেছি। কী করব ব্যবসা তো টিকিয়ে রাখতে হবে।”