বিস্ফোরণের ধরন দেখে বোমা বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা ওই বাড়ির ভেতরে তল্লাশি শুরু করেছে বলে পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বরাব কবরস্থান রোডের ৪৪৭ নম্বর হোল্ডিংয়ে ‘কুমিল্লা হাউজ টু’ নামের ওই বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে বিস্ফোরণ ঘটে।
দোতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণের পর ভবনের পশ্চিম পাশের দেয়াল এবং দোতলার পার্টিশন দেয়াল ধসে পাশে তাজুল ইসলামের টিনশেড বাড়ির ওপর পড়ে।
বিস্ফোরণের পর ওই বাড়িতে আগুন ধরে গেলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তা নেভায়। ওই বাড়ির মালিক কুয়েত প্রবাসী আবুল খায়েরের ছেলে ইব্রাহিম (২২) ও শ্যালক আয়নালকে (২৬) দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা এসে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলেন। ঢাকা থেকে এসে সকালে বাড়ির ভেতরে তল্লাশি শুরু করেন বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা।
পরে আবুল খায়ের, কেয়ার টেকার শরিফুল ইসলাম এবং শরিফুলের স্ত্রী নার্গিস বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় বলে পুলিশ সুপার জানান।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বিস্ফোরণে ওই দোতলা বাড়ির থাই গ্লাসের জানালা উড়ে গেছে। এক পাশের দেয়াল ধসে কংক্রিটের টুকরো ও বিভিন্ন অংশ পড়ে নিচের টিনশেড বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাশের টিনশেড বাড়ির মালিক তাজুল বলেন, “রাতের বেলায় হঠাৎ বিকট শব্দ হল। আমরা মনে করলাম ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ। বাইরে এসে দেখি এই অবস্থা। দেয়াল ভেঙে আমার ভাড়াটিয়া রুবিনার মায়ের ঘরের ওপর পড়ছে। তারা কান্নাকাটি করতেছে।”
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, “শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়েছে। সেটা বোমা ছিল কি না তা পরীক্ষা করে দেখছে আমাদের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট।”
গত সপ্তাহে ময়মনসিংহের ভালুকার এক বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত হওয়ার পর পুলিশ জানতে পারে, নিহত ব্যক্তি জঙ্গি দল নব্য জেএমবির ‘বোমা বিশেষজ্ঞ’ ছিল।
রূপগঞ্জের এই বাড়িতেও জঙ্গি আস্তানা গড়ে উঠেছিল কি না জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, “এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তদন্তে কী জানা গেল, তা পরে আমরা ব্রিফ করব।”