বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই তরুণীকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা ওই তরুণীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সামছুন নাহার।
তিনি বলেন, সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ওই তরুণীকে তার ভাই পরিচয়ে এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরীক্ষার পর ধর্ষণের আলামত পাওয়া যাওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টফ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) রেফার্ড করা হয়েছে।
অভিযোগের মুখে থাকা মহসিন মণ্ডল সাভার থানা যুবলীগের সহ সভাপতি। তার বড় ভাই সেলিম মণ্ডল সভাপতি। ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য সেলিম হজে যাওয়ায় মহসিন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের বাগ্নিবাড়ির ভোমকা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ওই তরুণীর মামাত ভাই ।
তিনি বলেন, “তার মামাত বোন (১৭) বিকালে বন্ধু শরীফকে নিয়ে বাগ্নিবাড়ি ভোমকা এলাকায় ঘুরতে যায়। তখন শরীফকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে তার বোনকে চোখ বেঁধে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে মহসিন মণ্ডল, তার ছোট ভাই জুয়েল মণ্ডল, খালাত ভাই হামিদ মণ্ডল, চাচাত ভাই তানভির মণ্ডল ও কালিয়াকৈর এলাকার পারভেজ।”
ওই তরুণী জানান, তাকে ও তার বন্ধুকে মারধরও করে। পরে তাকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মহসিন মণ্ডল বলেন, “ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই মেয়েকে আমরা চিনিও না। তাছাড়া আমি আমার ভাইকে নিয়ে ধর্ষণ করতে যাবো এটা কেউ বিশ্বাস করবে?
“পুলিশ তদন্ত করে দেখুক আসল ঘটনা কী?”
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ওসি মহসিনুল কাদির বলেন, “ধর্ষণের ঘটনাটি শুনেছি। তবে এর পেছনের রাজনৈতিক কোনো ঘটনা আছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”