সোমবার বিকালে শাকিল বাদী হয়ে নয়জনকে আসামি করে মামলাটি করেন বলে জানান রাণীশংকৈল থানার ওসি আব্দুল মান্নান।
মামলায় উপজেলার নেকমরদের ভবানন্দপুর গ্রামের মো. সইদুলের ছেলে ইমরান হোসেনের (২৭) নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বরাত দিয়ে ওসি জানান, রোববার বিকালে সংবাদ সংগ্রহের জন্য স্থানীয় সাপ্তাহিক উত্তর কথা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার জুনাইদ কবীরকে নিয়ে হরিপুর উপজেলায় যাচ্ছিলেন শাকিল। পথে জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ এলাকায় থ্রি হুইলারের (স্থানীয়ভাবে পাগলু নামে পরিচিত) কর্মচারী ইমরান ওই দুই সাংবাদিককে আটক করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
“চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ইমরান ও তার লোকজন দুই সাংবাদিককে ধাওয়া করলে নেকমরদের দুর্লভপুর গ্রামে শাকিল ও জুনাইদ আশ্রয় নেন। পরে সেখানে গিয়ে ইমরান ও তার লোকজন রড, লাঠিসোটা দিয়ে তাদের মারধর করে।”
খবর পেয়ে পুলিশ দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
আসামি ইমরান ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান ওসি।
এদিকে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান মিঠু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুই সাংবাদিককে মারধরকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় সাংবাদিকরা কঠোর আন্দোলনে যাবে।”