এদিকে ঘটনার পাঁচ দিনেও পুলিশ কাউকে শনাক্ত কিংবা গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
গত বুধবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কের হাজী মঞ্জিল এলাকায় কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার সময় যাওয়ার সাত খুন মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওয়াজেদ আলী খোকনের মেয়ে মায়েশা ওয়াজেদ প্রাপ্তিকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি বিষাক্ত দ্রব্য মিশ্রিত মিষ্টি খাইয়ে দেয়। পরে ঢাকা মেডিকেলে তাকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়।
এই ঘটনায় পরদিন ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী সেলিনা ওয়াজেদ মিনু বাদী হয়ে অজ্ঞাত চার জনকে আসামি করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
জেলার পুলিশ সুপার মঈনুল হক মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তরের খবর নিশ্চিত করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি শাহীন পারভেজ বলেন, “এই মামলায় আমরা এখনও কাউকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারিনি। মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
মামলাটি হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনও কেস ডকেটসহ সবকিছু বুঝে পাননি বলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মাহবুবুর রহমান জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে উল্লেখ করার মতো কোনো অগ্রগতি নেই।
গত বুধবার সন্ধ্যায় কোচিং থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হলে মায়েশা ওয়াজেদ প্রাপ্তিকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তার বাবার বন্ধু পরিচয়ে তাকে জোর করে বিষাক্ত দ্রব্য মিশ্রিত মিষ্টি খাইয়ে দেয়। প্রাপ্তি সেখান থেকে দ্রুত রিকশা নিয়ে বাড়ি রওনা দিলে তার পেট ও বুক জ্বালাপোড়া শুরু করে। তখন মোবাইল ফোনে বিষয়টি তিনি তার বাবাকে জানান।
পরে তার বাবা গিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে দুদফা তার পেট ওয়াশ করানো শেষে ওইদিন রাত ২টার দিকে তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন।
এই ঘটনার পর জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার নিরাপত্তা জোরদার করা হয় বলে প্রাপ্তির বাবা খোকন জানান।