বৃহস্পতিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়কের মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় যানজট পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ঈদে ঘরমুখো মানুষের কোনো দুর্ভোগ হয়নি। এবারও ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা মোটামুটি স্বস্তিদায়ক হবে।
“ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কেউ কেউ ভয়-আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। আমি স্বীকার করি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমস্যা হয়েছে। কিন্তু যে ভয় দেখানো হয়েছে আমার মনে হয় সড়ক পথে যাত্রীদের সেই ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।”
মন্ত্রী বলেন, মহাসড়কগুলো ভাল থাকলেও জেলা সড়কের অনেক জায়গায় সমস্যা আছে। বন্যা ও ভারি বর্ষণে দেশের কমপক্ষে ৩০টি স্থানে রাস্তায় ৫০০ থেকে এক হাজার মিটার আবার কোথাও কোথাও এক কিলোমিটার পর্যন্ত ভাঙ্গা আছে। ৫০টির বেশি সড়ক পানির নিচে থাকায় ঈদ যাত্রার প্রস্তুতি নিতে কিছুটা বিঘ্ন হচ্ছে।
দ্রুত মেরামত করে রাস্তা সচল করে তোলার চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের কাছে বিটুমিনের সড়ক নয়। রাস্তা সচল রাখাই বড় দায়িত্ব। এবারে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা মোটামুটি স্বস্তিদায়ক হবে।
মেঘনা টোল প্লাজার সামনে যানজট সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, “মেঘনা-গোমতি সেতুতে টোল আদায়ের সিস্টেমের ক্রটি রয়েছে। সেটা সারিয়ে তোলার চেষ্টা চলছে। আজ থেকে এখানে চার লেনে যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন হালকা যানবাহন চলবে। বাকি চার লেনে পণ্যবাহি ট্রাক-লড়ি-কর্ভাভ্যান চলবে।”
বুধবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা-গোমতী সেতু থেকে কাঁচপুর সেতু পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটে নাকাল হয়েছে যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার সকালেও তা অব্যাহত ছিল।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) সফিকুর রহমান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।