তবে কারা তাকে বিষাক্ত বস্তু খাইয়েছে তা জানা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় নারায়ণনগঞ্জ শহরের একটি কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার সময় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি তাকে জোর করে মিষ্টি জাতীয় বস্তু খাইয়ে দেয়।এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে বাবাকে বিষয়টি জানান।
খবর পেয়ে তার বাবা ওয়াজেদ আলী খোকন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা শেষে রাতেই তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ওয়াজেদ আলী জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় নিজ বাস ভবনে ওয়াজেদ আলী খোকন সাংবাদিকদের বলেন, অপহরণের উদ্দেশ্যে তার মেয়েকে মিষ্টির সঙ্গে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। দুই দফা পেট ওয়াশ করার পর চিকিৎসা শেষে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি।
“কেন আমার মেয়েকে এই ঘটনার শিকার হতে হলো? কারা করল তা তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করে বের করবেন। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করার জন্যও এই ঘটনা ঘটানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ওয়াজেদ।
তিনি আরও বলেন, “তাকে (প্রাপ্তি) অপহরণের উদ্দেশ্যে বিষাক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়েছে। কেন গাড়ি ও আরও লোক ব্যবহার করা হবে? তাকে অপহরণের পর হত্যা ও লাশ গুম করা হতে পারত।”
এ ঘটনার পর থেকে তাকে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ওয়াজেদ বলেন, “এতে বুঝতে পারছি আমি নিরাপদ নই।”
পরে তার বাবা তাকে তাদের বাড়ির সামনে থেকে হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানান মাইশা।
কোচিং সেন্টার থেকে চলে আসার সময় সেখানে তিনি একটি সাদা গাড়িতে আরও দুজন লোক বসা দেখেছেন বলেও জানান মাইশা।
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলায় আপিলের রায় প্রকাশের একদিন বাদেই বিচারিক আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবীর মেয়ের উপর হামলার ঘটনা ঘটল।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি শাহীন পারভেজ বলেন, এই ঘটনায় তদন্ত কাজ চলছে। তদন্তের জন্য অনেক কিছু আগে থেকে বলা সম্ভব হচ্ছে না।
“তাকে বিষ জাতীয় জিনিস খাইয়ে অচেতন করতে পারলে হয়ত অপহরণ করা হতে পারত।”
এই ঘটনায় তার মা সেলিনা ওয়াজেদ মিনু বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।