৭ খুনের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর মেয়ে আক্রান্ত

নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলায় আপিলের রায় প্রকাশের একদিন বাদেই বিচারিক আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর মেয়ের মুখে বিষ ঢেলেছে দুর্বৃত্তরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকও নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2017, 03:00 PM
Updated : 23 August 2017, 06:12 PM

বুধবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরে কোচিং সেন্টার থেকে নামার সময় পিপি এস এম ওয়াজেদ আলী খোকনের মেয়ে মাইশা ওয়াজেদ প্রাপ্তি আক্রান্ত হন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের বিপরীতে মামার কোচিং সেন্টার তৌহিদ টিউটোরিয়াল টেরিটরিতে পড়তে গিয়েছিলেন এ লেভেলের ছাত্রী মাইশা।

ওয়াজেদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোচিং সেন্টার থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সিঁড়ি দিয়ে নামার পর এক ব্যক্তি এসে তাকে (মাইশা) আটকায়। তাকে একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। সে এতে রাজি না হওয়ায় তিন হামলাকারী জোর করে মুখে বিষ ঢেলে একটি মাইক্রোবাসে উঠে চলে যায়।”

মাইশা এরপর দৌড়ে একটি রিকশায় উঠে বাসায় গিয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।

কয়েক দফা বমি করার পর মেয়েকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান ওয়াজেদ আলী। 

সেখানে চিকিৎসার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাইশাকে চিকিৎসকরা ছেড়ে দেন বলে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

হামলাকারীরা সাত খুনের প্রসঙ্গ তুলেছিল বলে জানান নারায়ণগঞ্জের আদালতে বিচারের সময় পিপি হিসেবে রাষ্ট্রপক্ষের মূল কৌঁসুলির দায়িত্বে থাকা ওয়াজেদ আলী।

তিনি বলেন, “রেস্তোরাঁয় যাওয়ার প্রস্তাবের সময় তারা বলেছিল- ‘তোমার বাবা কাল খুব ভালো কাজ করেছে, চল তোমাকে খাওয়াই’।”

সাত খুনের মামলায় নারায়ণগঞ্জের আদালত সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, আরিফ হোসেন ও এম এম রানাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল।

আপিলের রায়ে মঙ্গলবার হাই কোর্ট নূর হোসেন ও র‌্যাবের ওই তিন কর্মকর্তাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।

ঘটনাটি শুনে পুলিশ তৎপর হয়েছে বলে জানান নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মইনুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “হামলাকারীদের কেউ চেনেনি। আশপাশের ভবনের সিসি ক্যামেরা থেকে কোনো সূত্র পাওয়া যায় কি না, তা খতিয়ে দেখছি আমরা।”