নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে শুরু হয়ে যানবাহনের লাইন মেঘনা-গোমতী সেতু পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া যানজট বুধবার বিকাল পর্যন্ত গড়ায়।এরমধ্যে গাড়িগুলো থেমে থেমে চলতে থাকে।
যানজটে আটকা পড়ে কয়েক লাখ যাত্রী সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েন।
পুলিশ জানিয়েছে, মহাসড়কে কয়েকদফায় তিনটি গাড়ি বিকল হয়ে পড়লে এই যানজটের সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির কারণে গাড়ি চলাচলের গতি ধীর হওয়া এবং ওজন মাপার গাড়ির দীর্ঘ লাইন হওয়াও এ যানজটের কারণ।
স্থানীয়রা জানান, সোনারগাঁয়ের আষাঢ়িয়ার চর এলাকায় মঙ্গলবার রাতে পণ্যবাহী একটি ট্রাক বিকল হয়ে পড়লে যানজটের সূত্রপাত হয়। এছাড়া গোমতী সেতুর পূর্বপাশে দুটি বাস দুর্ঘটনায় পড়লে যানজট আরও তীব্র হয়।
এছাড়া ‘মেঘনা’ ও মেঘনা-গোমতী’ সেতুতে ওজন মাপার মেশিনে ট্রাক ও লরিসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহন দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা, টোল আদায়ের ধীরগতি, বৃষ্টিতে যান চলাচলের ধীরগতির কারণে যানজট আরও দীর্ঘ হয় বলে এলাকাবাসী ও আটকে পড়া গাড়ির চালক-যাত্রীর ভাষ্য।
সরেজমিনে মহাসড়কের দড়িকান্দি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, যানজটে আটকা যানবাহনগুলো স্থির দাঁড়িয়ে আছে।
দীর্ঘ যানজটে গাড়িগুলো থেমে থেমে চলছিল।
কভার্ডভ্যান চালক শহিদুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, টোল প্লাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যেসব পরিবহন ওজনের আওতায় আসে না সেগুলোকেও অযথা সড়কে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে রাখেন। ফলে এক লেনের সড়ক হওয়ায় পরিবহনের লাইন দীর্ঘ হয়ে যানজটে পরিণত হয়।
কুষ্টিয়ার মহজমপুর থেকে ছেড়ে আসা গরুবাহী ট্রাকের চালক শাহ আলম বলেন, “কুমিল্লায় যাওয়ার উদ্দেশে রোববার এ ট্রাকে গরু লোড করে চলতে শুরু করি। শুধু এ সড়কই নয়। দেশের বিভিন্ন সড়কেই যানজটের দৃশ্য রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় পুলিশ গরুর ট্রাক থামিয়ে টাকাও আদায় করছে।”
কাঁচপুর হাইওয়ে ওসি মোহাম্মদ তৈবুর রহমান বলেন, মহাসড়কে লরি, ট্রাক বিকল হওয়া এবং বাস দুর্ঘটনায় পড়ার কারণে যানজট তীব্র হতে থাকে। বৃষ্টির কারণে সড়কে যান চলাচলের ধীর গতি রয়েছে। এছাড়া মহাসড়কের দুটি টোল প্লাজায় টোল আদায়ের ধীরগতি ও ওজন মাপায় ট্রাক দীর্ঘ লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখার কারণে চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।