নির্যাতনের বিষয়ে কিছু বলেনি পুলিশ। চিকিৎসকরা বলছেন, হৃদরোগে পিন্টুর মৃত্যু হয়েছে এবং নির্যাতনের বিষয়টি ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
মৃত মাসুদুল হক পিন্টু (৪৬) উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের সাবেক সদস্য। তিনি ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি।
মঙ্গলবার পিন্টুর মা পিয়ারা বেগম এ অভিযোগ করেন।
পিয়ারা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুকুর ও জমি নিয়ে কয়েকদিন আগে পাশের গ্রামের ইনছান হাজী আমার ছেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় বেলা আড়াইটার দিকে কৈগাড়ী ফাঁড়ির চার পুলিশ বাড়িতে এসে পিন্টুকে মারতে মারতে বাইরে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে পিস্তল দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং থানায় নিয়ে যায়।
“পুলিশের নির্যাতন ও ভয়ে অসুস্থ হয়ে আমার পিন্টু মারা গেছে।”
ছেলের লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে, লাশ পাওয়ার পর মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, “পিন্টু মামলার আসামি। মামলার তদন্তকারী অফিসার আনিছ তাকে গ্রেপ্তার করেন। পরে সে অসুস্থ হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি অবস্থায় পিন্টু মারা যায়। ”
জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মচারী আব্দুল হান্নান জানান, কৈগাড়ী ফাঁড়ির পুলিশ পরিচয় দিয়ে চারজন লোক বিকাল পৌনে ৪টার দিকে পিন্টুকে ভর্তি করে দিয়ে চলে যায়। পরে তাকে কার্ডিওলজি বিভাগের সিসিইউতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সিসিইউতে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশিফুর রহমান বলেন, “পৌনে ৪টার দিকে পিন্টুকে সিসিইউতে আনা হয়। তারপর সেখানে চিকিৎসা চলে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বেলা সাড়ে ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।”
জিয়াউর রহমান মেডিকেলে পরিচালক নির্মলেন্দু বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পিন্টুর মৃত্যুর সময় আমি সিসিইউতে ছিলাম। তার শরীরে আঘাতের কোনা চিহ্ন দেখিনি।
“নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে, ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি জানা যাবে। ”
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগের সত্যতা এখনও পাওয়া যায়নি।
“ম্যাজিস্ট্রেটকে খবর দেওয়া হয়েছে। উনার উপস্থিতিতে নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হবে। প্রয়োজনে তদন্তও হবে।”