জেলার শাহজাদপুর আমলী আদালতের রেকর্ড কিপার মো. আতাউর রহমান জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. হাসিবুল হক শুনানি শেষে আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তারা হলেন - শাহজাদপুর উপজেলার নলুয়া গ্রামের হাজী মোকছেদ আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪০), খাগদিয়া গ্রামের খবির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৫), আন্দার কোঠাপাড়ার আব্দুল জব্বারের ছেলে আজিজুল হক আপন (৫৫), চুনিয়াহাটির দুলালের ছেলে আবু হানিফ (৪৫), দরগাহপাড়ার আজাদ প্রমাণিকের ছেলে শাহান আলী (৪৫), পুকুরপাড়ের হাজী ইসমাইল হোসেনের ছেলে হুমায়ন আহম্মেদ (৪৭) ও রামবাড়ির আবুবকর সিদ্দিকের ছেলে মাহবুবুল আলম আকন্দ ওরফে সোহেল (৩৬)।
গত ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয় মাহমুদকে শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র মিরুর ভাই পিন্টু অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে হাত-পা ভেঙে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মেয়রের বাড়ি ঘেরাও করে। এ সময় সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল।
মেয়রের পক্ষে দুটি শটগান থেকে গুলি ছোড়ার খবর আসে গণমাধ্যমে।
এ ঘটনায় শিমুলের স্ত্রী নূরুন্নাহার বেগম মেয়রসহ ১৮ জনকে আসামি করে মামলা তরেন। তবে ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে মোট ৩৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতা বিজয়কে মারধরের অভিযোগে তার চাচা এরশাদ আলী একই আসামিদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। এ মামলায় মেয়রসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
এর কদিন পর মেয়রের বাড়িতে হামলার অভিযোগে তার স্ত্রী একটি মামলা করলে তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।