নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার জানান, সোমবার সকাল থেকে আত্রাই নদী বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
চারপাশ প্লাবিত হওয়ায় হুমকির মুখে রয়েছে সিংড়া পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আহসান জানান, বন্যার পানি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বন্যায় এ পর্যন্ত উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকা প্লাবিত হয়ে লক্ষাধিক লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলার অন্তত ৭০টি স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ওমর আলী বলেন, মৎস্য ভাণ্ডার খ্যাত চলনবিলের সিংড়ার অধিকাংশই মৎস্য চাষি। হঠাৎ বন্যায় এই উপজেলার সাত শতাধিক পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে যাওয়ায় ক্ষতি ১১ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
কেন্দ্রটি রক্ষার জন্য বিদ্যুৎকর্মীরা একটানা কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, বন্যায় সাত হাজার হেক্টর জমির ধান ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ফসল।
এদিকে শুক্রবার থেকে সিংড়ার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ পলক।
সোমবার বিকালে সিংড়া পৌর কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় দুর্গতদের মাঝে সরাসরি ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।
এ সময় তিনি প্রত্যেক দুর্গতকে ২০ কেজি করে চাল, আধা কেজি করে ডাল, চিড়া, খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যতদিন দুর্যোগ কাটবে না ততদিন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্গতদের জন্য এভাবেই ত্রাণ দিয়ে সহযোগিতা করবেন।
বন্যার্তদের পুনর্বাসনেও কার্যকর পদক্ষেপ নিবেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
পরে স্পিডবোট নিয়ে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ত্রাণ বিতরণ করেন পলক।