সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার স্বাক্ষরিত এক অফিস স্মারকে তার ছুটির আদেশ প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়।
স্মারকে বলা হয়েছে, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক মাহবুবুল হক ভূইঁয়াকে গত ২০ অগাস্ট থেকে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষক সমিতির দাবি ও উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার ছুটি প্রত্যাহার করা হল।
তাছাড়া মাহবুবুল হককে এক মাসের ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বরাবর আইনি নোটিসও পাঠানো হয়। রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া শিক্ষক মাহবুবুল হকের পক্ষে এই নোটিস পাঠান।
জাতীয় শোক দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভা চলার সময় মাহবুবুল হক ক্লাস নেন বলে অভিযোগ তুলে তাকে বরখাস্তের দাবি তোলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। এ দাবিতে তারা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয় ও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। পরদিন থেকে দুইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে দেয় তারা। এরপর কর্তৃপক্ষ গত ২০ আগস্ট থেকে ওই শিক্ষককে এক মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায়।
একইসঙ্গে ঘটনা তদন্তে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।