কুবির সেই শিক্ষকের বাধ্যতামূলক ছুটি প্রত্যাহার

জাতীয় শোক দিবসে ‘ক্লাস’  নেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক ও বিভাগীয় প্রধান মাহবুবুল হক ভূইঁয়ার (তারেক) বাধ্যতামূলক ছুটির আদেশ প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যায় প্রশাসন।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2017, 12:15 PM
Updated : 21 August 2017, 12:25 PM

সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার স্বাক্ষরিত এক অফিস স্মারকে তার ছুটির আদেশ প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়।

স্মারকে বলা হয়েছে, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক মাহবুবুল হক ভূইঁয়াকে গত ২০ অগাস্ট থেকে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষক সমিতির দাবি ও উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার ছুটি প্রত্যাহার করা হল।

বাধ্যতামূলক ছুটির প্রতিবাদ এবং তা প্রত্যাহারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রোববার দিনভর অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের (আইনুল-জিয়া প্যানেল) নেতৃবৃন্দ। রোববার বেলা ১১টার দিকে উপাচার্য মো. আলী আশরাফ নিজ কার্যালয়ে যেতে চাইলে প্রশাসনিক ভবনের করিডরে তার পথরোধ করেন শিক্ষকরা।
এ সময় উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়।

তাছাড়া মাহবুবুল হককে এক মাসের ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বরাবর আইনি নোটিসও পাঠানো হয়। রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া শিক্ষক মাহবুবুল হকের পক্ষে এই নোটিস পাঠান।

জাতীয় শোক দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভা চলার সময় মাহবুবুল হক ক্লাস নেন বলে অভিযোগ তুলে তাকে বরখাস্তের দাবি তোলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। এ দাবিতে তারা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয় ও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। পরদিন থেকে দুইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে দেয় তারা। এরপর কর্তৃপক্ষ গত ২০ আগস্ট থেকে ওই শিক্ষককে এক মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায়।

একইসঙ্গে ঘটনা তদন্তে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।