উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের যশলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলমা ইউনিয়নের ডহরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুমারভোগ ইউনিয়নের শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদের।
তিনি বলেন, বন্যার পানি প্রবেশ করায় পদ্মা পাড়ের তিনটি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেইসঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির মডেল টেস্ট পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে।
তাছাড়া বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে উপজেলার কুমারভোগ ইউনিয়নের খড়িয়া, রানীগাও, তেউটিয়া ইউনিয়নের কোরহাটি, ঝাউটিয়া, তেউটিয়া, পাইকারা, সাইনহাটি, ব্রাহ্মণগাঁও, কনকসার ইউনিয়নের সিংহেরহাটি, বেজগাঁও ইউনিয়নের বেজগাঁও চর, ছত্রিশ, সুন্দিসার, গাওঁদিয়া ইউনিয়নের গাঁওদিয়া, শামুরবাড়ি, হাড়িদিয়া, রানাদিয়া, পাখিদিয়া, কলমা-ধাইদা ইউনিয়নের ডহরী, পূর্বভরাকর, পশ্চিম ভরাকর,কলমা বিধুয়াইল চরসহ ২৫টি গ্রাম।
ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের তপু বেগম বলেন, পানির মধ্যে আটদিন ধরে আছেন। পরিবারের ছয় সদস্য, তিনটি গাভী এবং হাঁস-মুরগী নিয়ে মাচাতে বসবাস করছেন। পানি বাড়ায় প্রতিদিনই ঘরের মাচা উঁচু করতে হচ্ছে।
একই গ্রামের শেখ বাবুল বলেন, আশপাশে শুকনো জায়গা না থাকায় গরু-ছাগল রাখাও কঠিন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রাতে ডাকাত হানা দেওয়ায় পাহারা বসাতে হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফজলে আজিম জানান, ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরির জন্য বলা হয়েছে। শিগগিরই ত্রাণ পৌঁছে যাবে।
সরেজমিনে এ প্রতিনিধি দেখেন, বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর টিউবওয়েলগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে।ফসলও ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আমন ধানের।