রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এমদাদ হোসেন জানান, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের দেপ্প্যছড়ি এলাকার ধসে পড়া সড়কের পাশে নবনির্মিত বেইলি সেতুটি সোমবার সকালে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
“আজ থেকে বেইলি ব্রিজের উপর দিয়ে বাস ও ট্রাক চলাচল শুরু করেছে। ফলে রাঙামাটির সঙ্গে আবারও সরাসরি বাস যোগযোগ চালু হল।”
তবে আপাতত ভারী গাছবাহী ট্রাক ওই সেতুতে চলতে দেওয়া হবে না জানিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, “ঈদের আগে অন্যান্য প্রস্তুতি শেষ করে তারপর আমরা গাছবাহী ভারি ট্রাক পারাপারের অনুমতি দেব।”
সেখানে ১২০ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি অসংখ্য বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়; অন্তত ৫৪টি স্থানে পাহাড় ধসে ১৩ জুন চট্টগ্রামের সঙ্গে রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এর মধ্যে সাপছড়ি ইউনিয়নের শাল বাগান এলাকায় সড়কের একাংশ দেড়শ ফুট নিচে দেবে যায়। সেনাবাহিনী ও সওজ কর্মীরা সড়কের কিছু অংশ মেরামত করে বিকল্প ব্যবস্থা করলে ২১ জুন থেকে হালকা যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
এরপার গত দুই মাস রাঙামাটি থেকে ট্যাক্সি কিংবা হালকা যানবাহনে চড়ে ঘাগড়া পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে বাস বা অন্য বাহন ধরে চট্টগ্রামে যাওয়া আসা করতে হাচ্ছিল রাঙামাটির বাসিন্দাদের। চট্টগ্রামের যাত্রীদেরও একইভাবে ভেঙে ভেঙে রাঙামাটি পৌঁছাতে হচ্ছিল।
হালকা যান চলাচল শুরুর পর জুনের তৃতীয় সপ্তাহে দেপ্প্যছড়ি এলাকার ধসে পড়া সড়কের পাশে বেইলি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। প্রায় দুই কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষে সোমবার তা খুলে দেওয়া হল।
৬৯ দিন পর সরাসরি বাস চলাচল শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে রাঙামাটি বাস মালিক সমিতির সভাপতি মঈনউদ্দিন সেলিম বলেন, “এতদিন বিড়ম্বনার শিকার হওয়া রাঙামাটিবাসীর মুক্তি মিলল; পরিবহন শ্রমিকদের দুর্বিষহ দিনযাপনেরও অবসান ঘটল।”
সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ বলেন, বেইলি সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হওয়ায় তারা এখন মূল সড়কের কাজ শুরু করতে চান।