এ নিয়ে রোববার থেকে কলেজের শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন শুরু করেছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ সর্বানন্দ বালা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আমরা কলেজে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করি। তরিকুলসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী এই আলোচনা সভা আয়োজনের দায়িত্ব নিতে চেয়েছিল।
“যেহেতু কলেজে বর্তমানে কোনো ছাত্রসংসদ নেই, তাই আমরা তাদেরকে সেই দায়িত্ব দেইনি। এ কারণে তরিকুলসহ অন্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে লাঞ্ছিত করে।”
ক্লাস বর্জন নিয়ে কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জহুরুল হক সরদার বলেন, “বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি রোববার সকাল ১০টার মধ্যে সুরাহা করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি স্বপন তালুকদারসহ কয়েকজন।
“রোববার সকালে তারা আসেনি। এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাস নিব না।”
তরিকুল বলেন, “১৫ আগস্ট নিয়ে শিক্ষকরা কলেজে কোনো কর্মসূচি করেননি। এ বিষয় সর্ম্পকে আমি অধ্যক্ষ স্যারের কাছে জানতে চাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন। আমি স্যারকে লাঞ্ছিত করিনি।”
কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি স্বপন তালুকদার বলেন, “তরিকুল যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তা খুব নিন্দনীয়। তরিকুলসহ সিনিয়র নেতাদের নিয়ে স্যারদের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধান করবো।”