রোববার পানির চাপে উপজেলার বামনডাঙ্গা-নলডাঙ্গা সড়কের বামনডাঙ্গা স্লুইচ গেইট এলাকায় প্রায় ২০ ফুট অংশ ধসে যায়। ফলে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
মকিতে পড়েছে লালমনিরহাট-সান্তাহার রেল রুটের লাইন ও সেতু।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম গোলাম কিবরিয়া জানান, খবর পেয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। সেইসঙ্গে রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগও রেললাইন রক্ষায় কাজ শুরু করেছে।
বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজমুল হুদা জানান, ধসের ফলে নতুন করে বামনডাঙ্গার মনমথ আদর্শ পাড়া এবং সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র, রাজবাড়ি, খানাবাড়ি, কদমতলা, তালুক রামভদ্র, বাজিত ও পশ্চিম বাছহাটি প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া শনিবার সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জের রাখালবুরুজ ইউনিয়নের নয়া বাজার বালুয়া এলাকার করতোয়া নদীর নুরুল্যার বিলের বাঁধের দেড়শ মিটার ধসে ১০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়।
গোবিন্দগঞ্জে বন্যার পানিতে ডুবে রোববার বিকালে এক গৃহবধূ, শনিবার রাতে এক শিশু মৃত্যু এবং সাপের কামড়ে ফুলছড়িতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া নিখোঁজ হয়েছে আরও একজন।
এরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের বুলি বেগম (৪৫), শালমারা ইউনিয়নের শাখাহাতি বালুয় গ্রামের জাকির হোসেনের নয় বছর বয়সী মেয়ে আদুরী বেগম ও ফুলছড়ির ফুলছড়ি ইউনিয়নের পারুল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে আম্বিয়া খাতুন (১১)।
শালমারা ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় পানি ডুবে আদুরীর মৃত্যু হয়েছে।
আর ফুলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, শনিবার সন্ধ্যায় রান্নাঘরে জ্বালানি কাঠ আনতে গিয়ে সাপের কামড়ে আম্বিয়ার মৃত্যু হয়।
এদিকে রোববার দুপুরে উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের হাতিয়াদহ গ্রামে করতোয়া নদীতে গোসলে নেমে মিরা খাতুন (১০) নামে এক শিশু নিখোঁজ হয় বলে জানিয়েছেন দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম জর্জ।
মিরা হাতিয়াদহ গ্রামের আলম মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তামুখঘাটে ব্রহ্মপুত্রের পানি ২৬ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি শহর পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তাছাড়া করতোয়ার পানি এক সেন্টিমিটার কমে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালী পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী জানান, জেলায় দ্বিতীয় দফায় বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ৫২৬ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক ও ১২ কিলোমিটার পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।