শনিবার রাতে আলাওলপুর ইউনিয়নের চরজালালপুর অলিল সরদার কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর ওই নারী (৫০) গোসাইরহাট থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তার স্বামী।
তবে পুলিশ বলছে, মৌখিকভাবে জানালেও লিখিত অভিয়োগ করেনি।
সরেজমিনে গিয়ে ওই গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় তার স্বামী স্থানীয় চর জালালপুর পুরান বাজারে যান। প্রতিদিনের মতো ওই নারী রাতের খাবার খেয়ে নিজেদের টিনের ঘরে দরজা পিঁড়ি দিয়ে আটকে রেখে শুইয়ে পড়েন।
এক পর্যায়ে প্রতিবেশী হাসেম বেপরীর ছেলে তিন সন্তানের জনক শিপন বেপারী ঘরে ঢুকে তাকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে শিপনকে আটকে রাখে।
এলাকাবাসী জানান, পরে তার স্বামী এসে ঘটনা শুনে শিপনকে কিল ঘুষি দিলে শিপন ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার দেয় এবং এরপর শিপনের আত্মীয়-স্বজন এসে ওই গৃহবধূর স্বামীকে মারপিট করে। এক পর্যায়ে তার হাত ভেঙে যায়।
রোববার ওই নারী গোসাইরহাট থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও পুলিশ তার মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তার স্বামী।
আলাওলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য রানী বেগম বলেন, “ওই নারীকে ঘরে একা পেয়ে শিপন পাশবিক নির্যাতন করেছে। পুলিশ এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”
গোসাইরহাট থানার ওসি এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, “ওই নারী আমার কাছে এসে মৌখিকভাবে ধর্ষণের চেষ্টার কথা বলেছেন। কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।”