শনিবার ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, শুক্রবার পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শনিবার তা কমেনিও বাড়েনি।
তবে কয়েকদিন ধরে বৃদ্ধি পাওয়া পানির কারণে ফরিদপুর সদর, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১৬৬টি গ্রামের ২৫ হাজার ৬০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
তিনটি উপজেলার পানিবন্দি পরিবারের মাঝে সরকারি সহায়তা হিসেবে ১২০ মেট্রিকটন চাল ও তিন লাখ ২০ হাজার টাকা নগদ দেওয়া হয়েছে বলেন তিনি।
পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ফরিদপুর সদর, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১৬৬টি গ্রামের ২৫ হাজার ৬০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জি এম আব্দুত রউফ জানিয়েছেন, পানি বৃদ্ধির ফলে ফরিদপুর সদর, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার ১৭১ হেক্টর ধান ও ৫৮ হেক্টর সবজিসহ মোট ২২৯ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
এসবের অধিকাংশও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন ।
ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান জানান, নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নটি পদ্মা নদী বেষ্টিত, এই কারণে চার দিক দিয়েই পানি প্রবেশ করেছে।
“এ ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এখানকার ছয়টি স্কুলে পানি প্রবেশ করায় সেগুলো সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।”
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া জানান, ইতিমধ্যেই চরভদ্রাসন ও সদরপুরের পানিবন্দি মানুষের মাঝে সরকারি সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে ।