শুক্রবার বিকালে ঠাকুরগাঁও শহরে কয়েকটি বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যদি বাংলাদেশের কোনো জায়গায় ছিনিমিনি খেলা হয়, কেউ যদি দুর্নীতির আশ্রয় নেয় তাকে ক্ষমা করা হবে না।
ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ঠাকুরগাঁও জেলায় ৩০ বছরে যে বন্যা হয়নি আজ সেই ভয়ঙ্কর বন্যা আপনাদের চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। আপনারা সেটা সাহসের সাথে মোকাবেলা করেছেন।”
বাংলাদেশ দুর্যোগ প্রবণ দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্যার্ত মানুষদের কষ্ট দূর না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আপনাদের পাশে আছে থাকবে।
কাল অথবা পরশু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনাজপুরে বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন বলেও জানান মন্ত্রী মায়া।
মায়া বলেন, “গত ২৯ মার্চ হাওর অঞ্চলে বন্যা হয়েছে। ১১টা জেলা এখনও পানির নীচে। তাদের আমরা নিয়মিত খাওয়া দাওয়া দিয়ে যাচ্ছি। একটা টুঁ শব্দও নাই। হাজার হাজার টন চাল প্রতিমাসে আমরা দিচ্ছি।”
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে সিলেট, ভোলা, বরিশাল, চাঁদপুর, নোয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র তাণ্ডবের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া চট্টগ্রাম ও পার্বত্য জেলায় পাহাড় ধসে চার সেনা সদস্যসহ ১৬৬ জন নিহতের ঘটনা এবং তা মোকাবেলার কথা উল্লেখ করেন মায়া।
তিনি বলেন, “ঠাকুরগাঁও জেলায় বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য প্রায় সাড়ে ৫শ মেট্রিক টন চাল ও নগদ অর্থ পাঠিয়েছি। ইতিমধ্যে এগুলো মানুষদের মাঝে বণ্টন করা হয়েছে।”
বিকালে ঠাকুরগাঁও শহরে কয়েকটি বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় যোগ দেন ত্রাণ মন্ত্রী।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন, সাংসদ ইয়াসিন আলী, সাংসদ সেলিনা জাহান লিটা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ, সচিব গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
সভা শেষে বন্যা দুর্গত মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন মন্ত্রী মায়া।