জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বন্যার কারণে জেলার তিন লাখ ৭২ হাজার গরু, দুই লক্ষাধিক ছাগল, সাড়ে ১১ হাজার ভেড়া ও শতাধিক মহিষ খাদ্যাভাবে পড়েছে।
সংকট মোকাবিলায় সরকার জরুরিভাবে ১০ হাজার মেট্রিকটন পশুখাদ্য বরাদ্দ দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব খাবার দুই-এক দিনের মধ্যে দিনাজপুরে এসে পৌঁছাবে।
বন্যায় শত শত একর জমির কাঁচা ঘাসসহ দেড় হাজার টনের বেশি খড় নষ্ট হওয়ায় এমন সংকট তৈরি হয়েছে বলে তিনি জানান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পশু মোটাতাজাকরণ খামারিরা বেশি বিপাকে পড়েছেন।
খাদ্য নষ্ট হওয়ার পাশাপশি খামারের অবকাঠামোরও ক্ষতি হয়েছে; ফলে পশু নিরাপদ স্থানে রাখা নিয়েও সমস্যা।
সদর উপজেলার গাবুড়া এলাকার রেয়াজুল ইসলাম বলেন, “কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য সাত মাস ধরে তিনটি গরু নিজ বাড়িতে পালন করছি। বন্যায় গরু রক্ষা করতে পারলেও শেষ সময়ে এসে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে।
“ঘাস ও খড়সংকটের কারণে বাজারে চড়া দামে তৈরি খাবার কিনতে হচ্ছে। এতে পশু পালনের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।”
আবার খাদ্যাভাবের কারণে পশুর দাম কমে যাওয়ায় বেচা যাচ্ছে না বলে জানান খামারিরা।