কোণাবড়ির জরুন এলাকায় সন্ধ্যায় স্কুলছাত্র মো. মাজেদুল (১২) এবং রাতে শ্রীপুরে মাছ ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম (২৩) খুন হন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জয়দেবপুর থানার কোণাবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আকরাম হোসেন জানান, মাজেদুল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জরুন এলাকায় জুলহাস নামে একজনের বাড়িতে বাবা-মা’র সঙ্গে ভাড়া থাকত । সে স্থানীয় একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবা-মা স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। একই এলাকার পাশের বাসায় মাজেদুলের খালাত ভাই নূরনবী (১৫) বাবা-মার সাথে থাকে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নুরনবী তার খালাত ভাই মাজেদুলকে তাদের বাসায় ডেকে নেয়। পরে পৌণে ৭টার দিকে বাড়ির অন্য ভাড়াটেরা নূরনবীর ঘরে মাজেদুলের গলায় ওড়না বাঁধা লাশ দেখে পুলিশ ও তার বাবা-মাকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে নূরনবী পলাতক রয়েছে।
এদিকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাওরাইদ রেলস্টেশন এলাকায় একই গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়া ও তার সহযোগীরা লাঠি, হকিস্টিক ও রড দিয়ে আরিফুলকে আঘাত করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তার নানা আকা মিয়া।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বরমী পপুলার ক্লিনিকে ও পরে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক আরিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই নিহতের সুরতহাল করা হয়েছে। তার মাথায় আঘাত ও ঘাড় ভাঙা পাওয়া গেছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।