পানি উঠে পড়ায় বন্ধ হয়ে গেছে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা।
বৃহস্পতিবার ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে নানা সমস্যার সঙ্গে রোগব্যাধিতেও আক্রান্ত হচ্ছে বানভাসিরা। তাদের চিকিৎসায় অর্ধশতাধিক মেডিকেল টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে; মজুদ রাখা হয়েছে জরুরি ওষুধ ও খাবার পানি ।
কুড়িগ্রাম পানিউন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রাম ফেরিঘাট পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
“এখন পর্যন্ত বন্যার পানিতে ভেসে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে; সারা জেলার ১৬টি নদ-নদীর ৪৪ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
তবে ক্ষতিগ্রস্তরা প্রয়েজনীয় ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে এবং কোথাও সংকট নেই বলে জানান জেলা প্রশাসক।
তিনি বলেন, “বন্যা দুর্গতদের ইতোমধ্যে ৮৫১ দশমিক ৩৮০ মেট্রিকটন জিআর চাল বিতরণ করা হয়েছে। জিআর ক্যাশ বিতরণ করা হয়েছে ২৩ লাখ পাঁচ হাজার টাকা। এছাড়া দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।”
এখনও ১৫০ মেট্রিকটন চাল ও সাড়ে নয় লাখ টাকা মজুদ রয়েছে বলে জানান তিনি।
বন্যাআক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে ৯০ টি মেডিকেল টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে; এছাড়া জরুরি ওষুধ, ওরাল স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ রাখা হয়েছে বলে সিভিল সার্জন আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বন্যার কারণে পানি উঠে ৯০টি কমিউনিটি ক্লিনিক পানিতে ডুবে গেছে। পানি সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া শুরু হবে।
এদিকে বন্যা দুর্গত এলাকার পরিস্থিতি সরাসরি দেখতে আগামী রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রামে যাচ্ছেন বলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম জানান।
সেদিন রাজারহাট উপজেলার পাঙ্গা রানী লহ্মীপ্রিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বন্যার্তদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ বিতরণ করবেন।