বগুড়ায় বাঁধে ফাটল, শঙ্কায় এলাকাবাসী

বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আরও তিনটি পয়েন্টে ফাটল দেখা দিয়েছে।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2017, 04:07 PM
Updated : 16 August 2017, 04:13 PM

বুধবার সারিয়াকান্দির গোদাখালিতে একটি এবং ধুনটের বানিয়াজানে দুই পয়েন্টে এ ফাটল মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলছে।

এর আগে মঙ্গলবার এ বাঁধে আটটি স্থানে ফাটল দেকা দেয়।

সরেজমিনে বুধবার দুপুরে গোদাখালিতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফাটল ঠেকানোর চেষ্টা করছেন। বাঁধে ফাটল ধরার পর পশ্চিম পাশে এবং বাঁধের উপরে লোকজন তাদের জিনিসপত্র ও গবাদিপশু নিয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্য আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন।

কেউ কেউ বেশকিছুটা দূরে বাঁধে যেখানে ফাটল সেখানে গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয়ে গেছেন।

এলাকাবাসী জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ধুনটের বানিয়াজান স্পারের কাছে দুটি ফাটল ধরে। ফাটল ধরার পর বাঁধের ও আশপাশের লোকজন তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও গবাদি পশু নিয়ে অন্যত্র চলে যান।

সেখানে দেখা গেছে, রাতে বাঁধে আশ্রিতরা সবাই এখানে ওখানে ঘোরাঘুরি করে দেখছেন কোথাও ফাটল ধরেছে কি না। আতংকে রয়েছেন বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা থেকে সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার বাঁধে আশ্রিতরা। বাঁধের পশ্চিম পাশে আশ্রিতরাও আতংকে রয়েছেন। বাঁধ ভেঙে গেলে তাদের ফসলি জমি, ঘরবাড়িসহ সবকিছু বেসে যাবে।

গোদাখালির রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার বাড়িঘর থেকে সবকিছু নিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে চলে যাচ্ছি। কখন বাঁধ ভেঙে যায় তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।”

ধুনটের বানিয়াজান চল্লিশপাড়ার আবদুল হান্নান বলেন, “বানিয়াজানের দুটি জায়গায় ফাটল ধরেছে। বাঁধের পশ্চিম পাশে আমার বাড়ি। ওখানে যদি ভেঙে যায় আমার বাড়িঘর সবকিছু ভেসে যাবে। তাই পাশের ইউনিয়নের আমার বড় ভাইয়ের বাড়িতে সব জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছি।”

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন বলেন, যেখানে ফাটল ধরছে সেখানে কাজ করা হচ্ছে। সোনাতলা থেকে ধুনট পর্যন্ত নতুন নতুন ফাটল ও ইঁদুরের গর্ত দিয়ে পানি বের হচ্ছে।

“কতগুলো পয়েন্টে ফাটল ও ইঁদুরের গর্ত আছে তা এ মূহূর্তে সঠিকভাবে বলা যাবে না।”

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাবুল চন্দ্র শীল বলেন, “সোনাতলা থেকে ধুনট পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে অন্তত ১০০টি স্থানে ইঁদুরের গর্ত দিয়ে পানি ঝরছে এবং ফাটল দেখা দিয়েছে। এসব দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে।”