সিরাজগঞ্জে বাঁধে ভাঙন, বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

যমুনা নদীর প্রবল স্রোতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2017, 01:23 PM
Updated : 16 August 2017, 02:07 PM

বুধবার ভোরে উপজেলার গোপালপুরে এ বাঁধটির প্রায় ১০০ মিটার ভেঙে যায়। এতে শাহজাদপুরের কৈজুরী, জালালপুর, বেলতৈল ইউনিয়নে শত শত একর আমন ধান তলিয়ে যাওাসহ বেশকিছু ঘর-বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠনে পানি উঠেছে।

এছাড়াও শাহজাদপুর উপজেলা সদরের সঙ্গে এনায়েতপুরের দুইটি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঁধগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ অবস্থায় ৮৫ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৮/১০ কিলোমিটার এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

“মাটির তৈরি বাঁধটির ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আপাতত পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। তবে শুষ্ক মৌসুমে আবার বাঁধটি নির্মাণ করা হবে।”

এদিকে, যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনিত হয়েছে।

বুধবার বিকালে এ নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

 

জেলা প্রশাসন জানায়, পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকার অধিকাংশ রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, ইতিমধ্যে পাঁচ উপজেলায় ১৭০ মেট্টিক টন চাল ও সাড়ে আট লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। প্লাবিত এলাকায় আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকে ওয়াপদা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।

জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা বলেন, নদীর পানি বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে। তারপরও তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সেনাবাহিনীকে চিঠি দিয়ে অবহিত করে রাখা হয়েছে। ১৬৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চরাঞ্চলের মানুষের জন্য শুকনো খাবার, মোমবাতি, দেয়াশলাই প্যাকেট ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে এবং আরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।