বুধবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন আসামিদের উপস্থিতিতে এক যুগ আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন বেলালের শ্বশুর শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল গ্রামের তারা মিয়া (৫০), একই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে ফজলু (৪২) ও টগর শেখের ছেলে তোফাজ্জল হেসেন (৪০)।
যাবজ্জীবন ছাড়াও প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
এছাড়া অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার অপর তিন আসামি আল আমীন, আব্দুল হামিদ ও জাহিদকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে আদালতের অতিরিক্ত পিপি ইমাম হোসেন ঠাণ্ডু জানান, ঝিনাইগাতী উপজেলার নওকুচি গ্রামের ইমান আলীর ছেলে বেলালের সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আসামিদের বিরোধ ছিল।
২০০৫ সালের ১০ এপ্রিল বেলাল শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গেলে তোফাজ্জল তাকে স্থানীয় রানীশিমুল বাজারে সিডি দেখার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তোফাজ্জ্বলসহ বাকি আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বেলালকে হত্যার পর লাশ গুম করে।
এরপর ১৪ এপ্রিল মরা পাগলা গাং এলাকার মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় বেলালের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায বেলালের বাবা ইমান আলী বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ঝিনাইগাতী থানার এসআই সালামত হোসেন ২০০৫ সালের ১৫ অগাস্ট তারা মিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
এ মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় বলে পিপি ইমান জানান।