মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ প্রশাসন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বসা নিয়ে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে বলে পালং থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ কর্মী সাগর জানান, কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৫ অগাস্ট উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক টিপু পক্ষের কর্মী অনিক মাদবর, মিজান মুন্সি ,বাহাদুর সিকদার ও আশরাফ ফকিরের সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোহসীন মাদবর পক্ষের কর্মী সোহেল ঢালি, সুমন তালুকদার, সোহাগ হাওলাদার ও মকবুলদের বসা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
“কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় সোহেল, মকবুল, সুমন, সজল, সুজন, সাকিল, রবিন, শামিম, ইমন, আল আমিন কাজি ও রুবেলসহ প্রায় ২০ জন আহত হন।”
আতদের মধ্যে চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সোহান হাওলাদাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক টিপু কোতোয়াল বলেন, “আমার সমর্থক চার ছাত্রলীগ কর্মী হলে বসা ছিল। জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোহসীন মাদবরের সমর্থকরা মারধর করে তাদের বের করে দেয়। এ নিয়ে সংঘর্ষ বাধে।”
এ বিষয়ে মোহসীন মাদবর বলেন, “আলোচনা সভা চলার সময় টিপু কোতোয়ালের নেতৃত্বে কতিপয় ছাত্রলীগ নামধারী কলেজে ঢুকে কর্মীদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের কর্মীরা আহত হয়েছেন।”
কলেজ অধ্যক্ষ মো. মনোয়র হোসেন বলেন, “আলোচনা সভা শেষে করে সবাইকে বিদায় দিয়ে আমি শিক্ষকদের নিয়ে অফিসে যাই। এর কিছুক্ষণ পর হঠাৎ হইচই শুনি। এরপর দেখি ৫/৭ জন ছেলেকে আরও ৫/৭ টা ছেলে ধাওয়া করছে।
“এর বেশি কিছু জানি না।”