জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এর পরপরই তিনি সমাধি বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
স্বশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সশস্ত্র সালাম জানায়। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রী সমাধি বেদীর পাশে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের প্রধান শেখ হাসিনা। এসময় আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন।
সকাল সাড়ে ১০টার কিছু আগে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশ করেন।
এরপর জতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বেলা ১১টার দিকে সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অংশ নেন।
প্রতিবারের মতো প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ছাড়ার পর সমাধিপ্রাঙ্গণ সবার জন্য খুলে দেওয়া হবে। সর্বস্তরের মানুষ এরপর বঙ্গবন্ধুর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।
১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিকের হাতে সপরিবারে জীবন দিতে হয় স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবকে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ অগাস্ট সরকারি ছুটির দিন। সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচিতে দিনটি পালন করছে।