পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জেলা প্রশাসন প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম জানান, বন্যার কারণে পানিতে ডুবে রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে রোববার আরও নয়জনের মৃত্যু হয়।
জেলার বিভিন্ন সড়কে বাস-ট্রাকসহ বড় যানগুলো চলাচল করলেও অন্যান্য জেলার সঙ্গে দিনাজপুরের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে রোববার দুপুর থেকে।
পার্বতীপুর-দিনাজপুর রেললাইনের বিভিন্ন জায়গা পানি ওঠায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর রেলস্টেশন সুপার গোলাম মোস্তফা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জার রহমান বলেন, সোমবার সকালে পুনর্ভবা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। তবে রোববার রাতে নতুন করে পানি বাড়েনি।
সরেজমিনে দিনাজপুর শহরের বেশির ভাগ এলাকায় পানি দেখা গেছে। শহরের প্রধান এলাকা বালুবাড়ি খালপাড়া, মালদহ পট্টি, চকবাজার, নিমতলা, মির্জাপুর, শেখপুরা, ঈদগাঁহ বস্তি এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
পুনর্ভবা নদীর শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে ও আত্রাই নদীর বাঁধভাঙা পানি ঢুকে দিনাজপুর পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের প্রায় সবাই পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।