তাছাড়া সাপের কামড়ে একজন এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এরা হলেন বিরল উপজেলার হাসিলা গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে চুমকি (১৩), ছেলে শহিদ আলী (১০) ও সিয়াদ (৭), প্রতিবেশী সাঈদ হোসেনের ছেলে সিহাদ (৭), দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ী ঢিবিপাড়া এলাকার মেহেদী হাসান (১৫), মির্জাপুর এলাকার আবু নাইম (১৩), বিরল উপজেলার মালঝাড় এলাকার বাবলু রায়ের স্ত্রী দিপালী রায় (৩২), সদরের দরবারপুর গ্রামের মেহের আলীর ছেলে চাঁন মিয়া (৫৫) ও শহরের বালুবাড়ী এলাকার সাইফুল ইসলাম (৪৫)।
কাহারোল থানার ওসি মনসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার বেলা সাড়ে ৩ টায় উপজেলার ঈশ্বরগ্রাম থেকে নিজের তিন সন্তান ও প্রতিবেশী এক শিশুকে নিয়ে কলা গাছের ভেলায় চড়ে বিরল উপজেলার হাসিলা গ্রামে বাড়িতে যাচ্ছিলেন আব্দুর রহমানের স্ত্রী সোনাভান বেগম।
এছাড়াও পানিতে ডুবে মেহেদী ও আবু নাইম (১৩),সাপের কামড়ে চাঁন মিয়া (৫৫) ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাইফুল ইসলামের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে বলে জানান দিনাজপুর পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম।
আর ঘরের মালামাল সরাতে গিয়ে পানিতে ডুবে দিপালীর মৃত্যু হয় বলে জানান তার স্বামী বাবলু রায়।
এদিকে দিনাজপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
পূর্নভবা নদীর পানি সন্ধ্যা ৬টায় বিপদ সীমার দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা সকালে ছিল ৭৪ সেন্টিমিটার।
দুপুর থেকে বৃষ্টি না হলেও শহর রক্ষাকারী বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
দুপুরে সেনাবাহিনীর একটি দল দিনাজপুরে পৌঁছালেও পূর্নভবা শহর রক্ষা বাঁধ রক্ষার কাজে হাত দেয়নি তারা।
এদিকে বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা হিসাবে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা ও ৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ৫০ লাখ টাকা ও ৩০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম জানিয়েছেন।