শনিবার গভীর রাতে উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের বিসিকপাড়া থেকে লিমন নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয় বলে র্যাব জানিয়ছে।
র্যাব - ৬ এর কমান্ডার এডিশনাল ডিআইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ র্যাব ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গ্রেপ্তার লিমনের নেতৃত্বে পোড়াহাটি গ্রামে বিলের মধ্যে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।
“গত ১৮ মে পোড়াহাটি গ্রামের একটি জঙ্গি আস্তানায় র্যাব অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক, সুইসাইডাল ভেস্ট ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে।”
ওই ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ঝিনাইদহ থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় লিমন এজাহারভুক্ত আসামি বলে ডিআইজি রফিকুল জানান।
তিনি আরও বলেন, লিমনের আগে এ মামলায় র্যাব আরও ১০ জঙ্গিকে আটক করেছিল। এরা হলেন প্রান্ত হোসেন, সেলিম রেজা, আব্দুল লতিফ, কাওসার জিন্নুরাইন লাল্টু, শহিদুজ্জামান শাহিন, সাহেব আলি, আলামিন ইসলাম, রানা আহমেদ, মনোয়ার হোসেন ও আশরাফুল ইসলাম।
“তাদের মধ্যে ছয় জন আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
“লিমন জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের এ অঞ্চলের আমিরের ডান হাত হিসেবে কাজ করে আসছে।”
ডিআইজি বলেন, ঝিনাইদহ এলাকায় ২০ থেকে ২২ জন জেএমবি সদস্য আছে। তাদের মধ্যে ১১ জন সক্রিয় জঙ্গি র্যাবের হাতে ধরা পড়ার পর অন্যরা গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।