নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ মিয়াজী শহীদুল আলম চৌধুরী বুধবার চার বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে সাজাপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেছে আদালত। জরিমানা না দিলে তাদের আরও ছয় কারাগারে থাকতে হবে।
এছাড়া অন্য একটি ধারায় লাশ গুমের দায়ে প্রত্যেক আসামিকে সাত বছর কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত; না দিলে তাদের আরও তিন মাস কারাগারে থাকবে হবে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন - শেরপুরের নকলা উপজেলার ধামনা ধনকুশা গ্রামের নেয়ামত আলীর ছেলে হামিদুল হক, তার বোন আফরোজা ও ফুফাত ভাই নকলা উপজেলার রামাইসা গ্রামের লাক্কর মিয়ার ছেলে মো. রিপন।
রায় ঘোষণার সময় সব আসামি আদালতে ছিলেন।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি আব্দুর রহিম জানান, ২০১৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকার ইসমাঈল হোসেনের ছেলে রমজানকে অপহরণ করেন বাড়ির ভাড়াটিয়া হামিদুল, রিপন ও আফরোজা।
রমজান জালকুড়ি পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, অপহরণের পর তারা তাকে শেরপুরের নকলা এলাকায় নিয়ে মোবাইল ফোনে রমজানের বাবার কাছে মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ না দেওয়ায় তারা তাকে গলাটিপে হত্যার পর লাশ গুম করেন।
এ ঘটানায় রমজানের মা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করলে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে; তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নকলার চাপাঝুড়ি সেতু এলাকা থেকে রমজানের লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ তিনজনের বিরুদ্ধে ২৪ জনকে সাক্ষী করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
রায় ঘোষণার পর রমজানের মা মার্জিয়া বেগম হতাশা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, “আমরা এই রায়ে খুশি নই। আমরা আসামিদের ফাঁসি চেয়েছিলাম। আমরা খুনিদের ফাঁসি চাই। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।”