সন্তানকে হত্যার পর ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের ধারণা।
মৃতরা হলেন-ওই এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী অপু কর্মকারের স্ত্রী শম্পা রানী কর্মকার (২৪) ও ছেলে অরণ্য কর্মকার (৩)।
আহত অর্নব কর্মকারকে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে আরাফাত জানান।
তাফালবাড়ি ফাঁড়ির এএসআই আরাফাত শেখ জানান, মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের তাফালবাড়ি বাজারের বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সকাল থেকে অপুর বাড়িতে কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরা তার বাড়ি যান। এ সময় জানালা দিয়ে ঘরের ভেতর শম্পার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তারা।
“পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় শম্পার লাশ ও খাট থেকে অরণ্যর লাশ উদ্ধার করে।”
এএসআই আরাফাত বলেন, শম্পা তার ছেলেকে শ্বাসরোধ হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
“জীবিত উদ্ধার হওয়া শিশুটির গলায়ও ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে; তাকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”
তবে তাৎক্ষণিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।