ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ রোববার এ কথা জানান।
এক কিশোরীকে ভালো কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে ১৭ জুলাই ও পরে কয়েকবার ধর্ষণ করেন বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার কয়েকজন সহযোগী।
এ ঘটনায় ওই দিন বিকালে তুফানসহ ১০ জনকে আসামি মামলা করেন ওই কিশোরীর মা। মামলার পর জাতীয় শ্রমিক লীগ বগুড়া শহর শাখার আহ্বায়ক তুফানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
পরিদর্শক আবুল কালাম বলেন, গত ৩ অগাস্ট তুফান সরকার ও কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকিকে দুই দিনের রিমান্ডে দিয়েছিলো আদালত।
“রোববার দুপুরে ওই দুই আসামি জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম শ্যাম সুন্দর রায়ের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয় আদালত।”
পরে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।
এর আগে তুফানকে গত ৩০ জুলাই তিনদিনের ও ২ অগাস্ট দুইদিনের এবং রুমকিকে চারদিনের রিমান্ডে দিয়েছিল আদালত।
এদিকে বেলা ২টার দিকে আদালতের সামনে মানবন্ধন করে বগুড়া জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
ফোরামের সভাপতি মোখলেছুর রহমান বলেন, “কিশোরী ও তার পরিবারকে আমরা বিনা পয়সায় আইনগত সহযোগিতা দিবো এবং আসামিদের পক্ষে আমাদের কেউ দাঁড়াবেন না।”