শনিবার সাভারে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, “মামলার কার্যক্রমে বিলম্ব করতে চিকিৎসার অজুহাতে খালেদা জিয়া ব্রিটেনে পালিয়েছেন। সেখানে ছেলে তারেক রহমানকে সাথে নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের সাথে আবারও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।”
দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা করা হয়।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ছয় আসামির বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায়।
এছাড়া ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তেজগাঁও থানায় অন্য মামলাটি করে দুদক।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
এছাড়া নাশকতাসহ আরও কয়েকটি অভিযোগেও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
গত ১৫ জুলাই যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। চোখ ও পায়ের চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি পেছনের দরজা দিয়ে আন্দোলন শুরু করতে চাইছে। সরকারের বিরুদ্ধে তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না।
‘বিএনপির ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, ঢাকা জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সায়েম মোল্ল্যা, সাভার উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির আহমেদ প্রমুখ।