শনিবার দুপুরে শহরের সাতমাথায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ মিছিল করে দলের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে বক্তরা ছাত্রী ও তার মাকে নির্যাতনের প্রতিবাদ ও নিন্দা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তারা বলেন, জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও দলীয়ভাবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দলের কেউ কোনো অপরাধ করলে পার পাবে না।
সমাবেশ শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে দলটি।
বগুড়ার এক কিশোরীকে ভালো কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে ১৭ জুলাই ও পরে কয়েকবার ধর্ষণ করেন শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার কয়েকজন সহযোগী।
বিষয়টি জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ‘একদল সন্ত্রাসী’ গত ২৮ জুলাই দুপুরে ওই কিশোরী এবং তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের মারধর করে নাপিত দিয়ে দুজনের মাথা ন্যাড়া করে দেন।
এদিকে একই দাবিতে শনিবার সকাল ১১টায় শহরের সাতমাথায় মানববন্ধন করেছে যৌন নির্যাতন নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক।
এছাড়া ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে দেখতেন যান বিরোধীদলীয় হুইপ নুরুল ইসলাম ওমর। চিকিৎসার জন্য এ সময় মেয়েটিকে ২৫ হাজার টাকা দেন তিনি।
সেইসঙ্গে মেয়েটিকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।