চিকিৎসকে মারধর করে ইউপি কার্যালয়ে নেওয়ার অভিযোগ

রাজশাহীর বাগমারায় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে এক পল্লী চিকিৎসককে মারধর করে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2017, 10:54 AM
Updated : 5 August 2017, 10:54 AM

শনিবার সকালে উপজেলার তালতলি বাজারে নিজের ওষধের দোকান থেকে আব্দুস সালাম (৪০)  তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সালামের বাড়ি ওই ইউনিয়নের কনোপাড়া গ্রামে।

দুপুরে বাগমারা থানা পুলিশ গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান বাগমারা থানার ওসি নাছির আহমেদ।

প্রত্যক্ষদর্শী ইব্রাহিম হোসেন জানান, সকাল সোয়া ৯টার দিকে আব্দুস সালাম তার ওর্ষধের দোকানে ছিলেন। এ সময় দুইটি মোটরসাইকেল নিয়ে পাঁচ ব্যক্তি তার দোকানে যায়, যাদের মধ্যে একজনের পরনে গ্রাম পুলিশের পোশাক ছিল।

“মোটরসাইকেল থেকে নেমেই তারা স্থানীয় ইউপি সদস্য আবেদ আলী মোল্লার উপস্থিতিতে দোকানের ভিতর প্রবেশ করে এবং আব্দুস সালামকে পিটিয়ে জখম করে টেনে হিঁচড়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়।”

এ সময় তারা দোকানের আসবাবপত্র ভাংচুর করে বলেও জানান ইব্রাহিম।

আব্দুস সালাম বলেন, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে মারপিট শুরু করে। এ সময় তারা দোকানে ভাংচুর চালায় এবং ক্যাশ বাক্স থেকে ১০ হাজার টাকা লুট করে।

“এরপর তারা আমাকে তুলে নিয়ে যায় গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদে। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর সরকারের সামনে তারা আমাকে আবার নির্যাতন করে।”

ইউপি সদস্য আবেদ আলী বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রামরামার আরঙ্গবাদ গ্রামের শফিকুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদের অভিযোগ করেছেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার ইউনিয়ন পরিষদের শালিস বৈঠক ডাকা হয়, যা নোটিশ দিয়ে আব্দুস সালামকে জানানো হয়েছিল।

“কিন্তু শালিসে উপস্থিত না হওয়ায় চেয়ারম্যান একজন গ্রাম পুলিশসহ ৪/৫ জন লোক পাঠিয়ে ছিল সালামকে ডেকে নিয়ে যেতে। তবে সে সেচ্চায় যেতে রাজি না হওয়ায় তাকে জোর করে ধরে নিয়ে গেছে।”

তবে আব্দুস সালামকে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেন আবেদ আলী।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর সরকারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

বাগমারা থানার ওসি নাছিম আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে এসআই শাহীনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের গিয়ে আহত অবস্থায় আব্দুস সালামকে উদ্ধার করেছে। সেখান থেকে পুলিশ তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।

“পুলিশ সালামের ওষুধের দোকান পরিদর্শন করেছে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি নিয়েছে, যাতে সালামের দোকানে ভাংচুর ও লুটপাটের প্রমাণ মিলেছে।”