শনিবার বেলা আড়াইটায় তাকে বহনবারী একটি সামরিক হেলিকপ্টার ঢাকা সিএমএইচের উদ্দেশে রংপুর ত্যাগ করে বলে রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিকিৎসক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাকসুদুর রসুল জানান।
তার তত্ত্বাবধানেই রংপুর সিএমএইচের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেলেন তারামন বিবি।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে শুক্রবার বেলা ১২টায় রংপুর সিএমএইচ ভর্তি হন ৭৩ বছর বয়সী এই নারী মুক্তিযোদ্ধা।
রংপুর সিএমএইচ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে তারামন বিবির ছেলে আবু তাহের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার মা সিএমএইচের চিকিৎসক মাকসুদুর রসুলের তত্ত্বাবধানে ছিলেন।
“মায়ের চিকিৎসা নিয়ে সকালে চিকিৎসকরা তিন সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করেন। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য মাকে ঢাকা সিএমএইচে পাঠানোর কথা জানান আমাকে।”
তিনি বলেন, “শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি হার্টেরও সমস্যা রয়েছে তার। ভিআইপি রোগী, তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা সিএমএইচে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় চিকিৎসক বোর্ড।”
তারামন বিবির বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার কাচারিপাড়ার শংকর মাধবপুর গ্রামে।
কুড়িগ্রামের শংকর মাধবপুরে ১১ নম্বর সেক্টরে কমান্ডার আবু তাহেরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তারামন বিবি। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা, তাদের অস্ত্র লুকিয়ে রাখা, পাকিস্তানিদের খবর সংগ্রহের পাশাপাশি অস্ত্র হাতে সম্মুখ যুদ্ধেও তিনি অংশ নিয়েছেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তারামনকে বীর প্রতীক খেতাব দেয়। কিন্তু এই মুক্তিযোদ্ধার নাম জনসমক্ষে আসে ১৯৯৫ সালে।
ওই বছর ১৯ ডিসেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে তারামন বিবির হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।