ধর্ষণ ও মাথা মুণ্ডনের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ শুক্রবার এ কথা জানান।
বগুড়ার এক কিশোরীকে ভালো কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে ১৭ জুলাই ও পরে কয়েকবার ধর্ষণ করেন শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার কয়েকজন সহযোগী।
বিষয়টি জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ‘একদল সন্ত্রাসী’ শুক্রবার দুপুরে ওই কিশোরী এবং তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের মারধর করে নাপিত দিয়ে দুজনের মাথা ন্যাড়া করে দেন।
এ ঘটনায় গত ২৮ জুলাই বিকালে তুফানসহ ১০ জনকে আসামি মামলা করেন ওই কিশোরীর মা। মামলার পর জাতীয় শ্রমিক লীগ বগুড়া শহর শাখার আহ্বায়ক তুফানকে রোববার সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
পরিদর্শক আবুল কালাম বলেন, বিকালে তুফানের ‘সহযোগী’ মুন্নাকে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আহসান হাবিবের আদালতে হাজির করা হয়। পরে সেখানে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
তিনি বলেন, “স্বীকারোক্তিতে মুন্না জানিয়েছে, ওই মেয়েটাকে বার বার তুফান তার বাসায় জোর করে নিয়ে এসেছিল এবং কাউন্সিলর রুমকির নেতৃত্বে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়।”
এ ঘটনায় গত ২৯ জুলাই তুফানের ‘সহযোগী’ আতিক ও ২ অগাস্ট ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন নাপিত জীবন কুমার রবিদাস।
গত ১ অগাস্ট ‘ধর্ষণের শিকার’ সেই কিশোরী অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ-১ মো. এমদাদুল হকের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার তুফান সরকার ও কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকিকে দুই দিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত।
এর আগে তুফানকে গত ৩০ জুলাই তিনদিনের ও ২ অগাস্ট দুইদিনের এবং রুমকিকে চারদিনের রিমান্ডে দিয়েছিল আদালত।
বগুড়ার জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়ার কথাও জানিয়েছে পুলিশ।