বগুড়ায় ধর্ষণ ও মাথা মুণ্ডন: ফের রিমান্ডে তুফান ও রুমকি

বগুড়ায় ‘ধর্ষণের শিকার’ কিশোরী ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকার ও কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও দুইদিনের হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।

শুক্রবার জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আহসান হাবিব এ আদেশ দেন।

বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, বিকালে তুফান সরকার ও কাউন্সিলর রুমকিকে  আদালতে হাজির করে পাঁচদিনে রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত দুই আসামিকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বগুড়ার এক কিশোরীকে ভালো কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে ১৭ জুলাই ও পরে কয়েকবার ধর্ষণ করেন শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার কয়েকজন সহযোগী।

মারজিয়া হাসান রুমকি

বিষয়টি জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ‘একদল সন্ত্রাসী’ শুক্রবার দুপুরে ওই কিশোরী এবং তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের মারধর করে নাপিত দিয়ে দুজনের মাথা ন্যাড়া করে দেন।

এ ঘটনায় শুক্রবার বিকালে তুফানসহ ১০ জনকে আসামি মামলা করেন ওই কিশোরীর মা। মামলার পর জাতীয় শ্রমিক লীগ বগুড়া শহর শাখার আহ্বায়ক তুফানকে রোববার সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এর আগে তুফানকে গত ৩০ জুলাই তিনদিনের ও ২ অগাস্ট দুইদিনের এবং রুমকিকে চারদিনের রিমান্ডে দিয়েছিল আদালত।