কাশিয়ানী উপজেলার পুইশুর ইউনিয়নের সীতারামপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এস মাঈন উদ্দিনের উপস্থিতিতে রত্না বেগমের লাশ উত্তোলন করা হয়।
রত্না ওই এলাকার মিজান বিশ্বাসের স্ত্রী।
গত ১৯ জুলাই উচ্চ আদালত এ নির্দেশ দেয় বলে কাশিয়ানী থানার ওসি এ কে এম আলী নূর হোসেন জানান।
মিজান বিশ্বাস বলেন, “পূর্ব বিরোধের জেরে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেশী হাসিব শিকদার, তার স্ত্রী পারভীন বেগম, ছেলে তজিবুর শিকদার, তাহের শিকদার ও শাফায়াত বিশ্বাস আমার স্ত্রীকে মারধর করেন।”
“গুরুতর অবস্থায় রত্নাকে প্রথমে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে পাঠানো হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে।
“ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়।”
এ ঘটনায় কাশিয়ানী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন বলে মিজান জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাশিয়ানী থানার এসআই হাদি আব্দুল্লাহ জানান, দাফনের আগে একবার ময়নাতদন্ত করা হলেও লাশ কবর থেকে তুলে পুনঃময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ আদালতে আবেদন করেন মিজান।
“কিন্তু নিম্ন আদালতে আবেদন নাকচ হলে তিনি উচ্চ আদালতে যান। পরে হাই কোর্ট লাশ উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্তের আদেশ দেয়।”
লাশ উত্তোলন করে গোপালগঞ্জ সদর হসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, গত চার থেকে পাঁচ মাস আগে হাসিব শিকদার, তার স্ত্রী পারভীন বেগম, ছেলে তজিবুর শিকদার, তাহের শিকদার ও শাফায়াত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। তবে আসামিরা পলাতক রয়েছেন।